ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু'দল গ্রামবাসীর মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালেও একই স্থানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দু’পক্ষ। এই ঘটনায় আজ কমপক্ষে ১০ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।
সকাল ৮টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার সাইমুম মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বারের লোকজনের মধ্যে একটি জমি মাপার সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। রোববার বিকেলে সেই সালিশের রায় ঘোষণার কথা থাকলেও কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় দু'দল গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়।
প্রথম দিনের সংঘর্ষ: রোববার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলা প্রথম দিনের সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত জন আহত হন।
দ্বিতীয় দিনের পরিস্থিতি: দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষে মিন্টু নামের এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্যবহৃত অস্ত্র: সংঘর্ষকারীরা ঢাল, শরকি, কালি, কাতরা, টেটা এবং সড়কের ইটসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে এবং হেলমেট পরিধান করে মুখোমুখি সংঘর্ষে অংশ নেয়।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত পাশ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় দু’দলই পুলিশ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে মুচলেকা দিয়ে সংঘর্ষ বন্ধ করে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন জানান, "দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।"
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata